কম্পিউটার কত প্রকার? কম্পিউটার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। How Many Kinds Of computer ? Part (01) Describe With All Computer. । প্রযুক্তি বই।

 

কম্পিউটারকে কী বলা হয়?  কম্পিউটার কত প্রকার?  কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
কম্পিউটারের প্রকার 

প্রিয় পাঠক,
আমি উদয়েন্দু  ,   আমি অনেক খোঁজাখুঁজি করে দেখেছি যে বেশিরভাগ প্ল্যাটফর্মে কম্পিউটার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে কিন্তু বিস্তারিত সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেওয়া হয়নি, তাই ভাবলাম একটু বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। আশা করি, এই পেজগুলো পড়ার পর আমরা কম্পিউটার সংক্রান্ত বেশিরভাগ প্রশ্নের সমাধান পেয়ে যাব। চলুন দেরি না করে পড়ে নেই-

কম্পিউটার   কি  ?
কম্পিউটার কত প্রকার?
আমি আজ কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। 

বর্তমান যুগ কম্পিউটারের যুগ, আধুনিক যুগ, আজকাল কম্পিউটারে দক্ষ হতে চায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া সহজ নয়। কম্পিউটারে অ্যাক্সেসযোগ্য এবং সুসংগঠিত বিশদ আলোচনার অভাবের কারণে কম্পিউটার অনেকের কাছেই একটি রহস্য রয়ে গেছে। আমরা মনে করি আমরা এই কম্পিউটার জানি না বা জানি না।
- আসলে কম্পিউটার এমন একটা জিনিস, বলতে গেলে আসলেই রহস্যময় আর কিছুই না। 
- সারা পৃথিবী যেমন কম্পিউটারের হাতে, তেমনি পুরো কম্পিউটার মানুষের হাতে। আপনি চাইলে খুব সহজেই একজন দক্ষ কম্পিউটার ব্যবহারকারী হয়ে উঠতে পারেন।

আর কথা না বাড়িয়ে কাজের কথা বলি।
শুরুতেই প্রশ্ন ছিল  কম্পিউটার কি?
উত্তরঃ  কম্পিউটার হল গণনার যন্ত্র। 

আমি যদি একটু বিস্তারিত বলি: 
কম্পিউটার শব্দটি এসেছে গ্রীক থেকে কম্পিউট শব্দ যার অর্থ গণনা করা বা গণনা করা, যার অর্থ একটি গণনা যন্ত্র। 
-কিন্তু আজকাল এটি শুধু হিসাবের জন্য ব্যবহার করা হয় না এটি অনেক ধরনের কাজ করতে পারে, ফলে এটি আমাদের কাজকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। বর্তমানে অ্যাকাউন্টিং, ওয়েভ জেনারেশন, গ্রাফিক, ইমেজ দেখা, ভিডিও দেখা, রোবটিক কন্ট্রোল, ব্রাউজিং ইত্যাদি কম্পিউটার দিয়ে করা হয়। 

কম্পিউটার দিয়ে শুরু করা যাক:
প্রথমত,  চার্লস ব্যাবেজ 1837 সালে   যান্ত্রিক কম্পিউটার আবিষ্কার করেন   , পরবর্তীতে তার নীতির উপর ভিত্তি করে আধুনিক কম্পিউটার তৈরি করা হচ্ছে।

কম্পিউটার কত প্রকার?
উপরের ছবিটি থেকে, আমি এতক্ষণে নিশ্চয়ই জেনে গেছি যে কোন ধরনের কম্পিউটার আছে। 
- কম্পিউটার প্রধানত তিন প্রকার।
  • এনালগ কম্পিউটার, 
  • ডিজিটাল কম্পিউটার, 
  • হাইব্রিড কম্পিউটার 
এনালগ কম্পিউটার কি?
এনালগ কম্পিউটার

একটি এনালগ কম্পিউটার একটি যান্ত্রিক বা ইলেকট্রনিক মেশিন যা গতিশীল বস্তুকে পরিমাপ করে। যেমন ভোল্টেজ বা ঘূর্ণন নির্ধারক।
উদাহরণ: গাড়ির ভোল্টেজ মিটার, স্পিডোমিটার, তাপমাত্রা মিটার, জ্বালানী মিটার ইত্যাদি। 

ডিজিটাল কম্পিউটার:
এটার আলোচনায় একটু পরে আসি, এর আলোচনা টা একটু বিস্তারিত করব। আগে হাইব্রিড কম্পিউটারের আলোচনা শেষ করি।

হাইব্রিড কম্পিউটারঃ

এটি হলো এনালগও ডিজিটাল কম্পিউটারের সমন্বয়ে গঠিত একটি কম্পিউটার। বৈজ্ঞানিক গভেষণার জন্য এ কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। এটি এনালগ পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রদর্শন করে।

যেমনঃ আবহাওয়া অফিসের কম্পিউটার,  এগুলো এনালগ পদ্ধতিতে বায়ুচাপ নির্ণয় করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আমাদের মাঝে প্রদর্শন করে থাকে।


আসি এখন ডিজিটাল কম্পিউটারের আলোচনায়-

ব্যবহার ও কাজের ভিত্তিতে ডিজিটাল কম্পিউটার চার ধরনের হয়ে থাকে।
  • সুপার কম্পিউটার, 
  • মিনি কম্পিউটার, 
  • মাইক্রো কম্পিউটার,  
  • মেইনফ্রেম কম্পিউটার।
  • সুপার কম্পিউটারঃ
সুপার কম্পিউটার

সবচেয়ে দ্রুত এবং শক্তিশালী কম্পিউটার হলো সুপার কম্পিউটার। এটি অনেক সূক্ষ্ম ভাবে কাজ করে থাকে। যেমনঃ মহাকাশ গবেষণা,  বৈজ্ঞানিক গবেষণা,  নৌযানে, জঙ্গি বিমানে, ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণে এই কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। এর সাথে অসংখ্য মাইক্রো কম্পিউটার যুক্ত থেকে কাজ করে।

কয়েকটি সুপার কম্পিউটারের নাম হলো- supers xll, 

JAGUAR, NEBULAE, KRAKEN, JUGENE, TIANHE-1, 


মিনি কম্পিউটারঃ
মিনি কম্পিউটার

এর নাম শুনে সবাই ভাবি, মনেহয় এটা ছোট কম্পিউটার, কিন্তু না, এটি সাধারণ কম্পিউটার হতে আকারে বড়। এর সাথে টার্মিনাল ব্যবহার করে ৬০-৭০ জনেরও বেশি মানুষ কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারে। এগুলো বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান,  বানিজ্য, এবং গবেষণাগাঢ়ে ব্যবহার করা হয়।

কয়েকটি মিনি কম্পিউটার হলো- pdp-11, ncrs/9290, ibms/36.


মাইক্রো কম্পিউটারঃ

আমরা দৈনন্দিন যে কম্পিউটার গুলো ব্যবহার করি সে গুলো মাইক্রো কম্পিউটার।  এটা নিয়ে শেষে বিস্তারিত আলোচনা করি, আগে মেইনফ্রেম কম্পিউটার নিয়ে আলোচনা করি।


মেইনফ্রেম কম্পিউটারঃ
মেইনফ্রেম কম্পিউটার, প্রধান ফ্রেম কম্পিউটার

 সুপার কম্পিউটার হতে একটু কম শক্তিশালী কম্পিউটার এটি।

তবে সাধারণ বা মাইক্রো কম্পিউটার হতে আকারে অনেক বড় এটি। এই কম্পিউটার বানিজ্যিক কাজে বেশি ব্যবহার করা হয়, যেমন বিভিন্ন ব্যাংক, শিল্প, শিক্ষাবোর্ডে ইত্যাদি যায়গায়।

এ ধরনের কম্পিউটারের কয়েকটি নাম- IBM 370, IBM 4341, IBM9100. 


মাইক্রো কম্পিউটারঃ

আগেই বলেছি, আমরা দৈনন্দিন জীবনে যে কম্পিউটার গুলো ব্যবহার করি সেগুলো হলো সাধারণ বা মাইক্রোকম্পিউটার,  মাইক্রো মানে ছোট  মানে যা আকারে ছোট,  এটিকে সংক্ষিপ্ত ভাবে (PC) Personal Computer বলা হয়ে থাকে।

মাইক্রো কম্পিউটার দুই ধরনের হয়ে থাকে।

ল্যাপটপ কম্পিউটার ,

ডেস্কটপ কম্পিউটার ।
Laptop
Desktopj

ল্যাপটপ: 
একটি ল্যাপটপ হল একটি ছোট ব্যাটারি চালিত কম্পিউটার, এর পার্সগুলি ছোট এবং ফ্ল্যাট এবং একসাথে, এটির একই বডিতে একটি মনিটর (ডিসপ্লে), মেশিন, মাউস এবং কীবোর্ড রয়েছে। এটি ছোট হওয়ায় এটি কোকের সাথে ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যাগে করে নিয়ে যাওয়া যায়। বর্তমানে বাজারে অনেক কোম্পানির ল্যাপটপ পাওয়া যায়, মূলত ছোট ধরনের ডেস্কটপ কম্পিউটার হলো ল্যাপটপ। কম্পিউটারের সকল কাজ ল্যাপটপেও পাওয়া যায়, এর ব্যাটারি ব্যাকআপ এবং কম পাওয়ারের কারণে ল্যাপটপ দিয়ে ভারী কাজ করা একটু কঠিন। কিন্তু ব্রাউজিং, রিডিং, স্বাভাবিক কাজগুলো ল্যাপটপ দিয়ে করা খুবই আরামদায়ক। ল্যাপটপগুলি বেশিরভাগ ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত হয়। পরবর্তীতে আমরা ল্যাপটপ এবং ডেস্কটপের মধ্যে পার্থক্য দেখব।

ডেস্কটপ:
এটি ল্যাপটপ এবং পার্সের চেয়ে বড়, এবং সবগুলি আলাদা, ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রতিস্থাপন করা সহজ করে তোলে। এর চাহিদা ও চাহিদা অনেক বেশি, বর্তমানে এর দ্বারা উচ্চ পর্যায়ের কাজ করা যায়। ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স, ফটো এডিটিং, ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি অনায়াসে করা যায়। 


পরবর্তী পোস্টে, আমি এটি এবং ল্যাপটপের বিশদ আলোচনা এবং শরীরের অংশগুলি বিশ্লেষণ করব যাতে আমি সহজেই সবকিছু বুঝতে পারি।



Post a Comment

0 Comments