(০৫) গুগলে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয় কিভাবে? কন্টেন্ট লিখে ইনকাম করার উপায়। কনটেন্ট রাইটিং এর জন্য সবচেয়ে ভাল হোস্টিং কোনটি? । প্রযুক্তি বই।

প্রিয় পাঠক, আমরা আগের ০৪টি পোস্টে ফ্রীল্যান্সিং এর বিষয় বস্তু নিয়ে আলোচনা করেছিলাম, আর শেষ ০৩ নাম্বারে কন্টেন্ট রাইটিং সম্পর্কে বেশ আলোচনা করেছিলাম।  কিন্তু এই মুহুর্তে  যেটা পড়ছেন বা এই পৃষ্ঠায় যা আলোচনা করব এই প্রশ্ন সমূহকে এই কয়েকটি প্রশ্নের মাধ্যমে সাজাব।

  • কোন হোস্টিং, কোন ডোমেইনটি ভাল?
  •  আমরা কিভাবে ওয়েবসাইট বানিয়ে লেখা লেখি করব?
কীভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করব,  ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম।


প্রশ্ন যখন তৈরি ই করে নিলাম, তখন ত জানার আগ্রহ বেড়েই গেল নাকি?

ত আমরা অনেকেই জানিনা যে ডোমেইন হোস্টিং কি?
এই বিষয়ে জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে অন্য একটি পোস্টে ডোমেইন-হোস্টিং নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে দেখে নিবেন। তারপরও একটু আলোচনা করে নেই সুবিধার জন্য। 

ডোমেইনঃ
ডোমেইন কি? বা ডোমেইন কেন ব্যবহার করা হয়?

ডোমেইন হলো ওয়েবসাইটের একটি ঠিকানা। একটি উদাহরণ সরূপ বলা যাক, 
ধরেন আপনি একজন "উদয়" নামের মানুষ। এরকম উদয় নামের হাজার হাজার মানুষ থাকতে পারে। কিন্তু এত সব মানুষের মাঝে আপনাকে চেনার জন্য আপনার নামের পিছনে টাইটেল বা ঠিকানা লাগাতে হবে, তবেই কেবল সবাই আপনাকো চিনতে পারবে, তাইনা?

 ঠিক তেমন ই। আপনার ওয়েবসাইটের জন্যও একটি ঠিকানা তৈরি করতে হবে।। 
এই রকম। একটু চিত্র দিয়ে বুঝিয়ে দিলাম।


এক কথায় সবকিছু//
আপনার ওয়েবসাইট যদি হয় আপনার বাড়ি ! 
ডেমেইন হলো আপনার বাড়ির  ঠিকানা ! 
আর হোস্টিং হলো আপনার বাড়ির ভিটা! 

উপরের সম্পূর্ণ টি ডোমেইন, আর এর মাঝেও ভাগ রয়েছে যা আলাদা করে দেখিয়ে দিলাম। আরো কয়েকটি ভাগ রয়েছে,৷ যেমন, http://,  https://,   www.  ,  . subdomain
ইত্যাদি, এগুলো সম্পর্কে পরিপূর্ণ ভাবে জানার জন্য অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের ঐ পোস্টটি দেখে দিবেন।
 
ডোমেইন প্রধানত দুই প্রকারের হয়ে থাকে।
  • মেইন ডোমেইন, 
  • সাব-ডোমেইন।
পড়তে পড়তে একটু নিচে গেলে অবশ্যই এদুটো সম্পর্কে জানবেন।

ওয়েবসাইটের জন্য আপনি দুভাবে ঠিকানা তৈরি করতে পারেন।
যেমনঃ

  • ফ্রী ডোমেইন
  • পেইড ডোমেইন।
ফ্রী ডোমেইন কি?
ফ্রী- অর্থাৎ টাকা ছাড়া, বর্তমানে যারা নতুন অবস্থায় কাজ করে তারা সাধারণত ফ্রী ডোমেইন নিয়েই কাজ করে। অর্থাৎ আপি যে ডোমেইন টি ব্যবহার করবেন তার জন্য আপনাকে কোনো প্রভাইডারকে মাসিক পেমেন্ট করতে হবে না। ফ্রী ডোমেইনের ভিতরেই মূলত একটি সাব ডোমেইন থাকে, কারণ আপনি এটা ফ্রী ব্যবহার করছেন তাই ঐ প্রভাইডারদের ক্রেডিট আপনার ডোমেইনের ভিতর থাকে। যেমনঃ
bongo.orga.com
উপরে আপনি তিনটি অংশ দেখতে পারছেন। এর মাঝে . org  হলো সাব ডোমেইন, যা মেইন ডোমেইন নামের পিছনে থাকে। আপনারা এরকম অসংখ্য ফ্রী ডোমেইন পেয়ে যাবেন। অনেক প্রভাইডর রয়েছে যারা ফ্রীতে ডোমেইন হোস্টিং সার্ভিস দিয়ে থাকে। জনপ্রিয় কয়েকটি ফ্রী সার্ভিস প্রভাইডিং ওয়েবসাইট হলো- 
  • Infinity web hosting site,
  • 000 web hosting,
  • pro Free hosting.
  • blogspot
ইত্যাদি।

পেইড ডোমেইনঃ
পেইড ডোমেইন হলো ঐ ফ্রী ডোমেইনের বিপরীত। আপনাকে এর জন্য প্রভাইডারদের একটা মাসিক বা বাৎসরিক পে করতে হয়। তবে এর কোনো সাবডোমেইন থাকে না। শেষে শুধু- . com, . org, . edu এরকম থাকে। এর জন্য  অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ডোমেইন হোস্টিং প্রভাইড করে থাকে।

ওয়েবসাইট হলো- 
  • Infinity web hosting site,
  • 000 web hosting,
  • pro Free hosting.
ইত্যাদি।


হোস্টিং কি?
হোস্টিং কেন ব্যবহার করতে হয়?
দেখুন _ আপনার কাছে যদি টাকার কেবল একটি নোট হয় তাহলে এটি আপনি পকেটে রাখবেন। কিন্তু আপনার কাছে যদি অসংখ্য এরকম নোট হয় তাহলে - এগুলো  সংরক্ষণ করে রাখার জন্য  অবশ্যই কোনো উপযুক্ত জায়গা খুঁজ বেন? বা থলে অথবা ব্যাগ খুঁজবেন?

ঠিক এরকম ই, আপনাকে আপনার তথ্য গুলো রাখার জন্য আপনার একটি উপযুক্ত জায়গা বা স্পেস লাগবে। আর এটিই হলো মূলত হোস্টিং। 

আপনি ডোমেইনের মতোই অসংখ্য ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন যেগুলো আপনার ওয়েবসাইট রাখার জন্য হোস্টিং দেবে। এটাও ফ্রী এবং পেইড দু রকম নেয়া যায়।

উপরে উল্লেখ করা সাইট গুলোতেও নিতে পারেন। তবে আমি মনে করি, নতুন অবস্থায় আপনাকে blogspot নেয়া উচিৎ। এখানে ফ্রীতে আনলিমিটেড হোস্টিং পাওয়া যায়। 

  • লেখা লেখির জন্য কোন ডোমেইন হোস্টিং টি  নতুনদের জন্য ভাল?
যারা নতুন অবস্থায় ওয়েবসাইটে লেখা লেখি করে তাদের সবচেয়ে বড় ভুল হলো- আগেই একটি পেইড ডোমেইন নিয়ে নেয় ফলে তাদের মাসিল পেমেন্ট করতে হয়, আর শেষে একসময় অর্থের অভাবে ওয়েবসাইটে কাজ করা বন্ধ করে দেয়।  যার ফলে সপ্ন আর বাস্তব হয়না। আপনি নতুন হলে অবশ্যই আপনি ফ্রী ডোমেইন হোস্টিং নিবেন।
আপনি  উল্লিখিত যেকোন সাইট হতে নিতে  পারেন, তবে আমি সাজেস্ট করব আপনি,  Blogspot থেকে নিবেন। এটি সয়ং Google  দ্বারা পরিচালিত। এটি কন্ট্রোল করা অনেক সহজ এবং  অনেক দ্রুত কাজ করে।
আপনি কিভাবে ব্লগ স্পটে একাউন্ট করবেন,  ওয়েবসাইট তৈরি করবেন, কিভাবে কাস্টম টেম্পলেট ডিজাইন করবেন তা একে একে  অন্যান্য পোস্টে বলা রয়েছে। অথবা আপনি নিচে অনুসরণ করোন-

ওয়েবসাইট তৈরি করব কিভাবে? 
দেখুন, এটি শুনতে যত টুকু সহজ মনে হয় আসলে ততটা সহজ নয়,  এর জন্য  আপনাকে মোটামুটি ৩টি পোগ্রামিং ভাষা সম্পর্কে মোটামুটি জানতে হবে। কারণ আপনি যেকোনো সময় ওয়েবসাইটে কোনো ত্রুটি দেখতে পেলে নিজেই সমাধান করতে পারবেন।
আপনি,  HTML, CSS, Java Script   এই তিনটি সম্পর্কে জানুন তার পর ই এই ওয়েবসাইটে কাজ শুরু করুন। এই গুলো সম্পর্কে জানার জন্য আমার ওয়েব সাইটে মেনুবার হতে পোগ্রামিং সেক্টরে যেতে পারেন। সেখানে ধারাবাহিক ভানে অনেক পোস্ট রয়েছে। দেখে নিবেন।

এখন ধরেন আপনি ঐ তিনটি পোগ্রামিং ভাষা সম্পর্কে জেনে নিয়েছেন এবং ব্যবহারও মোটামুটি পারেন।

আপনাকে অভিনন্দন! 
এবার আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করা শুরু করতে পারেন!

এবার আপনি আর কোনো দিকে না থাকিয়ে সরাসরি গুগলের(Google) Blogspot ব্যবহার করবেন। এই ওয়েবসাইট তৈরির দীর্ঘ প্রকৃয়াটা অন্য একটি পোস্ট দিয়েই শুরু করি। তাই এই পোস্টে আর আলোচনা করলাম না। পরের প্রতিটি পোস্ট অবশ্যই দেখে নিবেন। 
ধন্যবাদ!

Post a Comment

0 Comments