ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক পোস্ট: 02
যারা 01 নম্বর দেখেননি তারা চাইলে এসে দেখতে পারেন!
- কিভাবে অনলাইনে টাকা আয় করা যায়?
- ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, গুগল ইত্যাদি থেকে কিভাবে টাকা আয় করবেন?
- বিষয়বস্তু নির্মাতারা কীভাবে অর্থ প্রদান করেন?
- YouTubers কে টাকা দেয়?
- বিষয়বস্তু লিখতে কে অর্থ প্রদান করে?
- অনলাইনে টাকা আয় করার কত উপায়?
এই সব প্রশ্নের উত্তর এই পৃষ্ঠায়!
- তার আগে, আপনি কি সত্যিই অনলাইনে আয় করতে চান?
- আপনি কি একজন ফ্রিল্যান্সার হতে চান?
- যারা অনলাইনে আয় করেন তারাই কি শুধু ফ্রিল্যান্সার?
- নাকি যারা ফ্রিল্যান্সার তারাই কি অনলাইনে আয় করতে পারবেন?
আমি কত প্রশ্নের উত্তর দেব?
আরাম করুন...
ধারাবাহিকভাবে সব প্রশ্নের উত্তর দেব! তার আগে জেনে নেওয়া উচিত কারা অনলাইনে টাকা আয় করে? যারা অনলাইনে কাজ করে, তারা কত টাকা ইনকাম করতে পারে সেটাও বলব। কয়টা সেক্টর আছে সেটাও বলব। তাই শুরু থেকে শুরু করা যাক.
অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা সহজ নয় তবে আপনি যদি একজন বিশেষজ্ঞ হন তবে আপনি অবশ্যই সফল হবেন!
অনলাইনে টাকা আয় করতে জানেন না!
অনলাইনে অর্থ উপার্জনের হাজারেরও বেশি উপায় রয়েছে। তাই আমি এটিকে সেক্টর হিসাবে ভাগ করেছি।
দেখুন, মূলত এই উপায়গুলোর মাধ্যমে অফলাইনে আয় করা যায়!
- ব্যক্তিগত আয়
- ব্যবসায়িক আয়
এই দুই সেক্টরকে হাজার হাজার সেক্টরে ভাগ করা যায়।
Individual কে ভাগ করে দেখা যাক-
এর মানে হলো ব্যাক্তিগত ভাবে ইনকাম, অর্থাৎ আপনি কর্মী হিসেবে কাজ করে ইনকাম করবেন বা আপনার কোনো স্কিলের উপর সার্ভিস প্রভাইড করে কাজ করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা ইনকাম করবেন। এই সেক্টরে কত ক্যাটাগরীর স্কিল রয়েছে তাও আলোচনা করছি _
এই ব্যক্তিগত কাজেরও অনেক গুলো সেক্টর রয়েছে যার উপর ফ্রীল্যান্সিং করে আপনি কাজ করতে পারেন।
আসি ফ্রীল্যান্সিং সেক্টরেঃ
আপনি বিভিন্ন উপায়ে ফ্রীল্যান্সিং করতে পারেন। এর দুটি দিক রয়েছে, একটি হলো-
- সার্ভিস প্রভাইডিং
- এবং আরেকটি হলো-
- কন্টেন্ট ক্রিয়েশন।
আসি সার্ভিস প্রভাইডিং এ-
সার্ভিস প্রভাইডিং বলতে আমরা কি বুঝি?
সার্ভিস প্রভাইডিং হলো, ধরুন আপনি একটি কাজ জানেন বা একটি ডিজিটাল কাজের উপর আপনার ভালো স্কিল রয়েছে, এই স্কিল অনুযায়ী আপন অন্যদের কাজ করে দিবেন। যেমন আপনি একটি কোম্পানির অর্ডার পেলেন এবং কিছু অর্থের বিনিময়ে তা করে দিলেন। এভাবে ইনকাম করাকেই সার্ভিস প্রভাইডিং বলে। এর অসংখ্য সেক্টর রয়েছে, যেমন-
- ওয়েভ ডেভেলপমেন্ট
- গ্রাফিক ডিজাইন
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- একাউন্ট ম্যানেইজমেন্ট
- কন্টেন্ট রাইটিং
- ডাটা এন্ট্রি
- সোসাল বা ওয়েবসাইট SEO
- লিড-জেনারেশন
- এফিলিয়েট মার্কেটিং বা কাস্টমার প্রভাইডিং
ইত্যাদি -ইত্যাদি...
এসব হলো ব্যাক্তিগত সার্ভিস প্রভাইডিং বা ফ্রীল্যান্সিংএর সার্ভিস প্রভাইডিং এর কাজ।
ত এগুলো যদি একটি একটি করে বিশ্লেষণ করি তাহলে অনেক লেখা লেখির প্রয়োজন, আমি সংক্ষিপ্ত করে নিচ্ছি, তবে সারসংক্ষেপ বলে যাই সবগুলোরই_
ওয়েভ ডেভেলপমেন্ট কি?
ওয়েভ ডেভেলপমেন্ট কাকে বলে?
ওয়েভ ডেভেলপমেন্ট কেন শেখব?
ওয়েভ ডেভেলপমেন্ট বলতে কি বুঝি?
এইযে আপনি এই মুহূর্তে যেখানে পড়ছেন বা আপনি গুগলে যে পৃষ্ঠা গুলো পড়েন এগুলো হলো একেকটা ওয়েবসাইটের পৃষ্ঠা, এরকম লক্ষ্য লক্ষ্য ক্যাটাগরীর ওয়েবসাইট রয়েছে, ত এগুলোতে কিভাবে লিখতে হয়? এই ওয়েবসাইট গুলো তৈরি করা হয় কোডিং এবং প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে, এই কোডিং কি প্রোগ্রামিং কি তা আরেক পোস্টে বলা হয়েছে। দেখে নিবেন।
এই ওয়েবসাইট যারা তৈরি করে তাদের ওয়েব ডেভেলপার বলে, ওয়েভ ডেভেলেপার রা, HTML, JAVA, PHP,CSS ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ভাষা বা কী ওয়ার্ড ব্যবহার করে এই ওয়েবসাইট গুলো তৈরি করে। আমি নিচে এই ওয়েভ সাইটের অভ্যন্তরীন একটি কাঠামো দেখালাম দেখুন।
উপরের স্ক্রীনশট টি কিসের জানেন?
আপনি এই মূহুর্তে যে বর্ণনা গুলো পড়ছেন তা আমাকে এই স্ক্রিনশটের মতো পোগ্রামিং ভাষা দিয়ে করতে হয়েছে। যার ফলে এতো সুন্দর করে সাজিয়ে লিখতে পেড়েছি আপনি পড়তে পাড়ছেন।
এগুলোই মূলত ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টের কাজ। ত বিশ্বে এর চাহিদা অনেক বেশি, অন্য যেকোন ফ্রীল্যান্সারদের হতে এদের ডিমান্ড অনেক বেশি, তাদের মূল্যও ইনকাম সবকিছুই বেশি। যদি তারা না থাকতো তাহলে এই অনলাইন জগৎ সৃষ্টি ই হতো না।
বর্তমান সময়ে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে এই সেক্টর হতে তরুন তরুনীরা অনেক ইনকাম করছে, আপনিও চাইলে এগুলো শিখে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনাকে অবশ্যই এক্সপার্ট হতে হবে।
গ্রাফিক ডিজাইন কি?
গ্রাফিক ডিজাইন বলতে কি বুঝি?
গ্রাফিক ডিজাইন কাকে বলে?
গ্রাফিক ডিজাইন বলতে কি বুঝি?
গ্রাফিক ডিজাইন কাকে বলে?
আপনি নিশ্চয়ই গ্রাফিক্স শব্দটি শুনেছেন, অথবা যদি মুভি, নাটক, সিনেমা দেখে থাকেন তাহলে অবশ্যই গ্রাফিক্স শব্দটি শুনেছেন।
তাহলে নিশ্চিত বুঝে গিয়েছেন যে গ্রাফিক্স কি?
হ্যা! এটি বেশ চাক্ষুষ একটি জিনিস। গ্রাফিক ডিজাইনারদের যেকোনো ওয়েবসাইট বা মিডিয়ার- সৌন্দর্যের কারিগর বলা
হয়। কারণ তাদের দ্বারাই মূলত কন্টেন্ট গুলো চাক্ষুষ এবং দৃষ্টি প্রিয় হয়ে থাকে। যে কন্টেন্টের ব্যানার সুন্দর, কোয়ালিটি সুন্দর সেগুলোই আমরা দেখি। এগুলোই মূলত এদের কাজ।
যেমন-
- ফটো এডিটিং
- ভিডিও এডিটিং
- ব্যানার এডিটিং
- আর্ট
- ওয়ালপেপার তৈরি
- লগো তৈরি
অর্থাৎ, অনলাইন জগতের সকল সৌন্দর্য তাদের উপর নির্ভর করে। এদের সম্পর্কে আর কিছু বলার থাকে না। এর চাহিদা দৈনন্দিন। প্রতিদিন এর নির্মাণ কার থাকে। দৈনিক বিজ্ঞাপন, ফটো তৈরি, ইমেজ তৈরি, এসব একেবারেই কমন বিষয়। তাই এই সেক্টর থেকেও অনেক ইনকাম করা সম্ভব হয়।
নিচে একটি গ্রাফিক ডিজাইনের নমুনা দেখালাম+
ডিজিটাল মার্কেটিংকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। কারণ অনলাইন ব্যবসা এবং নগদ ব্যবসা উভয় ক্ষেত্রেই এর সমান গুরুত্ব রয়েছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি ?
ডিজিটাল মার্কেটিং কে করে?
ডিজিটাল মার্কেটিং করে কত আয় করা যায়?
আয়ের ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিংও কম নয়। এটা অনেক ফাংশন আছে. এই ডিজিটাল মার্কেটিং বর্ণনা করার জন্য একটি পৃথক পোস্ট প্রয়োজন. কারণ সেক্টর যত বড়, বর্ণনা তত বড়। তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব পরবর্তী পোস্টে? শুধু তাই নয়, উপরোক্ত সকল সেক্টর সম্পর্কে বিস্তারিত আলাদা আলাদা পোস্ট রয়েছে।
সংক্ষেপে, আমরা পণ্য ব্র্যান্ডিংকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলি, তাই না?
কিন্তু না, এত ছোট নয়। এর অনেকগুলো সেক্টর আছে। ডিজিটাল বিপণন শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে একটি পণ্য প্রচার সম্পর্কে নয়। এর মধ্যে কয়েকটি সেক্টরের নাম বলি,
- সিপিএ মার্কেটিং
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- পণ্য বাজারজাতকরণ
- বিজ্ঞাপন বিপণন
- সামাজিক মিডিয়া মার্কেটিং
ইত্যাদি ইত্যাদি.....
তাই পরবর্তী পোস্টে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। সবাই দেখবে।
এবং এই ধরনের আরো ডিজিটাইজেশন পেজ পেতে আমাদের ওয়েবসাইট সংরক্ষণ করুন.
ধন্যবাদ !
0 Comments
আপনার মন্তব্য লিখুন!